জাতীয় বক্সিং খেলোয়াড়ের পাশে থাকার আশ্বাস বারাবনি বিধায়কের

Spread the love

জাতীয় বক্সিং খেলোয়াড় পূরবী কর্মকারের পাশে দাঁড়ালেন বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়

কাজল মিত্র

জাতীয় বক্সিং খেলোয়াড় পূরবী কর্মকার মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে,তার বাবা প্রহ্লাদ কর্মকার তিনি ছোট ব্যাবসায়ী,অনেক কষ্টের মধ্যে নিজের স্বপ্ন পূরণ করছেন তিনি,তিনি নিজেও বক্সিং করতেন কিন্তু বেশিদূর খেলতে পারেননি,তার স্বপ্ন তার মেয়ে
পূরবী দেশের হয়ে যেনো খেলে।কিন্তু তার অসুবিধার কারণ হচ্ছে অর্থ।সরকার বা বড়ো বড়ো কোম্পানির মালিকরা সব খেলার পিছনে স্পনসার করে কিন্তু আজ পর্যন্ত পূরবী কর্মকারের কেউ সাহায্য করেনি।
লকডাউনের জন্য পূরবী নিজের বাড়ি ফিরে এসেছে,কিন্তু
একজন বক্সারের জন্য প্রোটিন খাবারের খুব প্রয়োজন, কিন্তু আর্থিক অভাবের জন্য তা পূরবী পাচ্ছিল না।
কিন্তু পূরবীর এই অসুবিধার কথা শুনে বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় নিজে আসেন তার বাড়ি রূপনারায়ানপুর ইস্টরাঙ্গামাটিয়া তে তিনি পূরবী কর্মকারকের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য এবং কিছু আর্থিক সহায়তা করেন। তাছাড়া তার পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন পূরবী সাথে তিনি সর্বদায় রয়েছেন,তিনি চেষ্টা করবেন যেনো সরকারি সুবিধা গুলি যেনো পূরবীকে দেওয়া যায় তাছাড়া বক্সিং এর অনুশীলনের জন্য মাসিক কিছু আর্থিক সাহায্য তিনি করবেন।
পূরবী কর্মকারের বাবা প্রহ্লাদ কর্মকার বলেন তার মেয়ে পূরবী বক্সিংয়ে খুব ভালো,জাতীয় সিনিয়র প্রতিযোগিতায় ৪৮কেজি বিভাগে রুপো এবং সাব জুনিয়ার প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জয় লাভ করেছে পূরবী,রাজ্যের গেমস চ্যাম্পিয়ন তার নাম এসেছে কিন্তু লকডাউনের জেরে ১৪মার্চ পূরবী বাড়ি ফিরে এসেছে।
তার স্বপ্ন যেনো পূরবী দেশের জন্য সোনা জিতে দেশের নাম রোশন করে, কিন্তু তাদের একমাত্র অসুবিধা অর্থ,নিজের সব কিছু তিনি মেয়ের বক্সিংয়ের পিছনে লাগিয়েছেন,কিন্তু লকডাউনের জেরে তার ব্যাবসা চলছে না তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার ও অনুশীলনের অভাব পড়েছে পূরবীর এই কথা বারাবনি বিধায়ক জানার পর তিনি আমাদের বাড়ি আসেন এবং পূরবীর জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার ও আর্থিক সাহায্য করেন তাছাড়া তিনি আমাদের আশ্বাস দেন তিনি সর্বদায় আমাদের পাশে রয়েছেন,আমরা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানায়।
এই প্রসঙ্গে বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন আমাদের দেশের এবং আমাদের রাজ্যের ভবিষ্যৎ হচ্ছে পূরবী,আমি এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদায় তার পাশে রয়েছি,আমি আগামী দিনে নিজের তরফে মাসিক কিছু আর্থিক সহায়তা তাদের করবো তাছাড়া আমি চেষ্টা করবো যেনো পূরবীকে রাজ্য সরকারের সমস্ত সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।
বিধায়কের সঙ্গে এই দিন পূরবীর বাড়ি যান জেলা পরিষদ কর্মদক্ষ মহম্মদ আরমান,সালানপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং সহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *