জামালপুরে রক্তদান শিবির

Spread the love

সেখ সামসুদ্দিন,

জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে জামালপুর বাস স্ট্যান্ডে মহিলাদের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে লকডাউন চলার ফলে রক্ত সংকট উদ্ভূত হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খানের উদ্যোগে এই রক্তদান শিবির। এই রক্তদান শিবির চলবে টানা এক সপ্তাহ । রক্তদান শিবির দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। ইন্দো-চীন সীমান্তে সংঘর্ষে শহীদ হন ২০জন ভারতীয় জওয়ান। শহীদ জওয়ানদের স্মরণ করে এবং শহিদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শম্পা ধাড়া সহ উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্ত, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি মেহেবুব রহমান, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক সহ পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ, এবং ব্লকের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্যগণ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যগণ সহ সাধারণ কর্মীবৃন্দ এবং আরো বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ। রক্তদান শিবিরের শুরুতেই সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্যানিটাইজিং ডোরওয়ের মাধ্যমে সকলকে প্রবেশ করানো হয় এবং সকলের হাতে মাক্স তুলে দেন মেহেমুদ খান। উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ মেহেমুদ খানের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংশা করেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন মেহেমুদ খানের উদ্যোগে যে রক্তদান শিবির আজ থেকে শুরু হলো এবং তা চলবে টানা এক সপ্তাহ এটা শুধু মাত্র জেলা বা ব্লক নয় গোটা রাজ্যের মধ্যে নজির সৃষ্টি হবে। একই সুরে মেহেবুব রহমান ও শিখা সেনগুপ্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান এবং ব্লক নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংশা করেন। আজকের এই রক্তদান শিবিরে রক্তদানকারী ৫০ জন মহিলার হাতে একটি করে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা মেহেমুদ খান বলেন প্রায় ২০০০জন মহিলা ইচ্ছুক রক্তদান করতে কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে রক্তদান শিবির করতে হচ্ছে তাই প্রত্যেকদিন ৫০ জন করে মহিলা রক্তদান করবেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা রেখেই তারা চলছেন। রক্ত সংগৃহীত হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সহযোগিতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *