দুবরাজপুর পুরসভায় দুর্নীতি নিয়ে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

Spread the love

খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা)

 পুর শহরে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
       
দীর্ঘদিন আগে বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার নির্বাচিত পুরবোর্ডের  মেয়াদ শেষ হলেও, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার  মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার  মতো দুবরাজপুর পুরসভারও নির্বাচন হয়নি। বিদায়ী পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান  পীযূষ পাণ্ডেকে প্রশাসক নিয়োগ করে দুবরাজপুর পুরসভার কাজকর্ম চলছে। দীর্ঘদিন ধরে সিউড়ি সদর মহকুমা শাসক  পুর প্রশাসক হিসেবে এই পুরসভার দায়ীত্বে ছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে একজন মহকুমা শাসক এভাবে পুর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকায় প্রশাসনিক কাজে অসুবিধা দেখা দেওয়ায়, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিদায়ী পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান  পীযূষ পাণ্ডেকে পুর প্রশাসকের দায়িত্বে  বসান।      এবার দুবরাজপুর শহর জুড়ে রবিবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে জেরক্স করা বেশকিছু পোস্টার দেখা যাওয়ার পর থেকেই সারা শহর জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়ে যায়।  জনগণের সামনে  দুর্নীতি তুলে ধরতে বিজেপি যে ওই পোস্টার শহর জুড়ে সাঁটিয়েছে তা কার্যত  তারা স্বীকার করে নিয়ে জানায়, আম্ফান থেকে শুরু করে রেশনের চাল চুরি, সবের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।তাই জনগণের সামনে সঠিক চিত্র তুলে ধরতেই এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে–কাটমানির সরকার, আর নেই দরকার, করোনায় কেন্দ্রীয় সাহায্যের কোটি কোটি টাকা লুঠের তদন্ত চাই, রেশনের চাল চোর তৃণমূলীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, আম্ফান ঝড়ের টাকা আত্মসাৎ করলে কেন ?  তৃণমূল জবাব দাও।  এই সরকারকে কমিশনের সরকার, কাটমানির সরকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওইসব পোস্টারে। দুবরাজপুর পুরসভার পুর প্রশাসক পীযূষ পাণ্ডে কার্যত পোস্টারে উল্লেখিত অভিযোগগুলি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, তিনি পুর প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরসভার বেশকিছু ক্ষেত্রের অনিয়মগুলি  তাঁর নজরে আসার পরই তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন। পঞ্চায়েতের গাড়ির ড্রাইভার, পুরসভার যে কয়েকজন কর্মী আম্ফানের  ক্ষতির টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।  কেননা, জেলায় আম্ফান হয়নি। ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু মাটির বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।  পুরসভায় যাতে কোনওভাবে অনিয়ম ও বেনিয়ম না হয়, তা তিনি সুনিশ্চিত  করার চেষ্টাও চালাচ্ছেন বলে এদিন দাবি করেন । তবে, এনিয়ে যে বিতর্ক আরও দীর্ঘ হবে, তারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দুবরাজপুর পুরসভার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলিকে তারা পুর শহর দুবরাজপুরে আশপাশের যে সব এলাকার মানুষজনেরা আসেন, সেখানেও প্রচারের উপরে জোর দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলার অন্যান্য পুরসভাগুলিতে এর কোনও  ছায়া পড়বে কী না, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে ।।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *