নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
কাজল মিত্র
:- তৃনমুল কংগ্রেসের দূর্গাপুর ১ নং ব্লকের পক্ষ থেকে রবিবার তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কমিটির নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের সম্মান জানানোর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমাকে আবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে মিলে সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষের মনে দলের ছবি আরো ভালো হয় কিছু লোকের দিদির আদর্শ থেকে সরে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়ে গেছে। যাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় দলের গুডউইল একটা উৎকর্ষের জায়গায় নিয়ে গেছেন। মাটিতে সেটাকে ধরে রাখতে হবে। আমরা যারা দলের পদে আছি, সেই পদের দায়িত্ব আমরা যদি ভালো ভাবে পালন করি ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি, তাহলে দল ও নিজের ছবি ভালো হবে৷ তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে যখন বিধান সভা নির্বাচন হবে, তার রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে, আজ যে আমাদের সম্মান দেওয়া হলো, তার বাস্তবতা। দূর্গাপুরের দুটো আসন জিতে দিদিকে উপহার হিসাবে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য হবে। কথা ও কাজের মধ্যে অন্তর থাকা চলবে না। এটা করলে আমরা, নিজেকে ও দিদিকে ধোঁকা দেবো। বাড়ির অভিভাবকের উপর বিবাদ মেটানোর দায়িত্ব থাকে। পরিবারের যে দায়িত্ব সদস্যর আছে, তার কাছে ক্ষমা করার শক্তি থাকা উচিত। নিজের ধৈর্যের স্তর বাড়াতে হবে। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বাড়াতে হবে। তাহলে নিজেদের মধ্যে কোন সমস্যা থাকবে না। দূর্গাপুরের সব নেতা নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে থাকুন। একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। তাহলে কোন সমস্যা হবেনা। নেতাদের মধ্যে নিজেদের বিবাদের কারণে কর্মীরা অসুবিধায় পড়ছেন৷ তাই তাদের কথা ভেবে নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবেন না। তিনি আরো বলেন, নিজেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক হতে গেলে বাস্তবে তার আদর্শ মেনে চলতে হবে। দূর্গাপুরে আমাদের যেসব নেতারা আছেন, তারা অন্যদলের নেতাদের থেকে অনেক ভালো। করোনা সংকটের সময় সিপিএম ও বিজেপির কোন নেতাকে দেখা যায় নি। যখন আমাদের দলের কর্মী ও সমর্থকরা সংকটের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকবেন, তখন তার ডিভিডেন্ড নেওয়ার সময় নিজেদের মধ্যে বিবাদ কেন করবেন?
অনুষ্ঠানে তৃনমুল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রুপেশ যাদব, লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়, দূর্গাপুর পুলিশ মেয়র দিলীপ অগস্থি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।