পরিবেশ বাঁচাতেই – “ইচ্ছে”
শতভিষা দত্ত, ময়ূখ সাধুখাঁ, জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :
ইচ্ছে থাকলে উপায় বেরিয়ে আসে – কথাটা যে বর্ণে বর্ণে সত্যি, তা প্রমাণিত। এবং ফল মিলেছে। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু পথ চলা। পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণে জামালপুরে চলছে কর্মযঞ্জ। মূলতঃ পরিবেশ বাঁচাতে কতিপয় যুবকের এই ভাবনার শরিক এখন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইচ্ছে’ র উদ্যোগে অঞ্চল জুড়ে বছরভর ধরে হাতে নেওয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি।
পেশায় শিক্ষক অনিমেষবাবুর ছাত্র সৌরভ, শান্তনু, সায়ন্ত, শৌভিক এর ভাবনা থেকেই বাস্তবে রূপায়ন। প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশের লক্ষ্যে “বসুন্ধরা” প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এক বছর আগেই এবং কর্মযঞ্জে সামিল প্রায় শতাধিক যুবক। পুকুর সাফাই থেকে খাল পরিস্কার। বৃক্ষরোপণ থেকে বৃক্ষদান কর্মসূচি রয়েছে “ইচ্ছে” – স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।
পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঘোষ ও এলাকার পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রথম সারিতে রয়েছেন। নিরন্তর সাহস ও উৎসাহ যুগিয়েই চলেছেন। বিজ্ঞানের দুই ছাত্র মলয় সাধুখাঁ ও দেবীপ্রসাদ পান অগ্রণী ভূমিকায়। এবং তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে হলে যেতেই হবে এই জেলার-ই দক্ষিণে দামোদর নদীপাড়ে।
জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার এই মহতী উদ্যোগে সবরকম সহযোগিতা করেন। এদিকে, ফুল বডি স্যানিটাইজ সংক্ষেপে এফ বি এস মেশিন ‘ইচ্ছে’ – স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেছে। অন্যদিকে, দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েই অভিযান। আপাতত সেটি জনকল্যাণে জামালপুরে ব্লক হাসপাতালে কাজ করে চলেছে।
প্রসঙ্গতঃ করোনার আবহে পাশেই রয়েছেন তাঁরা। “আবরণ” – নামে এক নতুন প্রকল্পের সূচনা করে প্রায় পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। অন্নপূর্ণা প্রকল্পের মাধ্যমে লকডাউনে দুঃস্থদের হাতে চাল-ডাল-আলু ও তেল এবং সাবান ইত্যাদি দেওয়া হয় ।