দীপঙ্কর সমাদ্দার,
: খড়দহ পাতুলিয়া তে পুকুর থেকে উঠে এসে দীপঙ্কর তোলার বাড়ির বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বিরল ফ্ল্যাটশেল প্রজাতির কচ্ছপ। তার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া ছোট্ট ছেলে রাদ্রীক তোলা দেখতে পায়। সাথে সাথে সে রহড়া ডাঙ্গাপাড়াতে তার মামা দাদু বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম হালদারের বাড়িতে দেখাতে নিয়ে আসে মায়ের সাথে।গৌতম বাবু জানালেন দেখেই তার সাথে সাথে মনে হয়েছে এটি বিরল প্রজাতির। এলাকার পুকুরে ছেড়ে দিলে আবার উঠে আসতে পারে, এবং অন্য কারও হাতে পড়লে সেটি আর বাঁচবে না ,তাই তিনি সাথে সাথে বনদপ্তর ফোন করেন ।ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শুভাসিস হালদার সাথে সাথে কচ্ছপটি কে উদ্ধার করতে গৌতম বাবুর বাড়ি চলে আসেন ব্যারাকপুর থেকে এবং শুভাশিস বাবুর হাতে গৌতম হালদার কচ্ছপটি কে তুলে দেন। শুভাশিস বাবু কচ্ছপ টিকে সাথে সাথে টিটাগর লক্ষ্মী ঘাট থেকে নৌকা করে মাঝ গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেন । গৌতম বাবু জানালেন কচ্ছপ ধরা এবং কচ্ছপের মাংস খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তার থেকেও বড় কথা আমাদের মানবজাতির মনে রাখতে হবে বিরল প্রজাতির সমস্ত প্রাণী কে সংরক্ষণ আমাদেরই করতে হবে এই জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন ।শুভাশিস বাবু জানালেন গৌতম বাবুর মত মানসিকতার মানুষ আজকে সমাজে খুব দরকার ,তবেই তো প্রাণীরা মহানন্দে বেঁচে থাকতে পারবে আমাদের এই পৃথিবীতে । তিনি আরও জানালেন এই ধরনের ভারতীয় ফ্ল্যাটশেল প্রজাতির কচ্ছপ সাধারণত হ্রদ ও নদীতে দেখা যায় , এরা প্রথম আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রবর্তিত হয়েছিল। রাজস্থানের মরুভূমির পুকুরগুলো তেএই ধরনের কচ্ছপ দেখতে পাওয়া যায়।