খায়রুল আনাম,
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীর। পাঁচিল কাণ্ডের মধ্যেই এবার বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের একাংশের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন থেকে বাড়ি ভাড়া ও যাতায়াত বাবদ প্রাপ্য বিশেষ ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অধ্যাপকদের একাংশের দিক থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ১৯ জুন একটি ‘বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে জানিয়ে দিয়েছিলো যে, গ্রীষ্মের ছুটির পরও যারা ক্যাম্পাসে থাকেননি, তাঁরা বাড়ি ভাড়া ও যাতায়াত বাবদ প্রাপ্য ভাতা পাবেন না। ৬ জুলাই আরও একটি ‘ বিজ্ঞপ্তি’ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ওই দু’টি ভাতা পেতে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত অধ্যাপকদের ক্যাম্পাসের আশপাশে থাকার প্রমাণ পেশ করতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে জনৈক অধ্যাপক তথ্য জানার অধিকার আইনের দ্বারস্থ হলে সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই দুই ভাতা বাসস্থানের ঠিকানার উপরে নির্ভর করে না। ওই অধ্যাপকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি ই-মেলের মাধ্যমে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জানিয়েও দেওয়া হয়।
এদিকে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বভারতীর প্রায় ২০০ জন অধ্যাপকের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল যে, লকডাউনের সময় অধ্যাপকরা কোথায় ছিলেন এবং শান্তিনিকেতনে থেকে থাকলে সেই বাড়ির ঠিকানা দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হবে। জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ অধ্যাপক সেই তথ্য জানালেও প্রায় ২০০ জন অধ্যাপক সেই তথ্য জানাননি। আর সেইসব অধ্যাপকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন থেকেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে চাইলেও, বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে কোনও মতামত দেওয়া হয়নি। ওইসব অধ্যাপকরা বলছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করছে না এবং আইনকেও মান্যতা দিচ্ছে না। তাই, তাঁরা এব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে ।।