বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে কমিটিতে স্থগিতাদেশ জারী সুপ্রিম কোর্টের

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ) ,


বুধবার দুপুরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় কে বহাল রাখলো। তবে আরও স্কুল ফি কমানো নিয়ে যে কমিটি গড়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, তাতে স্থগিতাদেশ জারী করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৩ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে যে রায়দান  ঘটেছিল, তাতে বেশকিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে  আপিল  করে থাকে। তাতে সেই আপিল টি আজ অর্থাৎ  বুধবার  সুপ্রিম  কোর্ট  খারিজ করে দেয়। মূলত বেসরকারি স্কুলে স্কুল ফি কমানোর বিরুদ্ধে আপিল পিটিশন টি ছিল। 
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর করোনায় সার্বিক বেহাল আর্থিক পরিকাঠামোয় বড়সড় স্বস্তি পেয়েছিল বেসরকারি স্কুলগুলির অভিভাবকরা। ওইদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যেখানে ২০১৯ -২০ বর্ষে এপ্রিল মাস থেকে কলকাতার ১৪৫ টি স্কুলের বকেয়া মোট ফি এর ২০% ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মকুব হয়েছে নন-একাডেমিক ফি। যাদের (অভিভাবকদের) আর্থিক পরিকাঠামো বেহাল। তাদের ৮০% স্কুল ফি কমানোর প্রস্তাবনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের এক কমিটি গড়ে দিয়েছিল । যেখানে হেরিটেজ স্কুলের প্রিন্সিপাল , মামলাকারীর আইনজীবী ( প্রিয়াঙ্কা আগরওয়াল) এবং ব্যারিস্টার তিলক বসু রয়েছেন। এই কমিটির কাছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি অভিভাবকরা বাকি ৮০% স্কুল ফি কমানো নিয়ে লিখিতভাবে জানাতে পারেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল। তবে যারা ইতিমধ্যেই স্কুল ফি মিটিয়ে দিয়েছেন , তারা জমা দেওয়া অর্থ ( স্কুল ফি ) ফেরত পাবেন না। জানা গেছে , ৯০% অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলের বকেয়া ফি মিটিয়ে দিয়েছেন।এর আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে বেসরকারি স্কুলে ফি মকুব নিয়ে মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলেছিল। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ গুলি কে পৃথক কমিটি গড়ার নির্দেশ দেয়। বেসরকারি স্কুলগুলির প্রতিটি স্কুলে আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান ভিন্ন। তাই প্রত্যেকটি স্কুলকেই স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চ। কোন একটি নিদিষ্ট কমিটি সব বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে সঠিক পর্যালোচনা করতে পারবেনা বলে মনে করছে হাইকোর্ট। তাই সাত সদস্যর স্কুল কমিটি গড়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের আরও তিনজন প্রবীণ শিক্ষক থাকবেন। পাশাপাশি ফি নিয়ে প্রতিবাদী অভিভাবকদের লটারির মাধ্যমে তিন জন অভিভাবক থাকবেন সাত সদস্যর কমিটির সদস্য হিসেবে। এই স্কুল কমিটিই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্কুলের বকেয়া ফি নিয়ে। প্রতিটি স্কুলের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান ভিন্ন তাই সার্বিক স্কুল ফি হ্রাস নাও কার্যকরী হতে পারে। আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট এটাও জানিয়েছে যে – ‘ যেসব স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবক বকেয়া ফি দিতে সক্ষম। তাঁরা যেন ফি মিটিয়ে দেন। কেউ যেন এই করোনা পরিস্থিতির সুবিধা না নেন ‘। কলকাতা হাইকোর্টের গড়া সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাছে সব বেসরকারি স্কুলের আয় ব্যয়ের রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। যেসব স্কুল এখনও রিপোর্ট জমা দেয়নি। তাদের কে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই কলকাতার ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট থেকে পুনরায় ফিরে এসেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বেসরকারি স্কুলে ফি সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারীর কলকাতা হাইকোর্টের রায় পুন বিবেচনার আবেদন খারিজ করে পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে দরবারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের গড়া বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে দুই সদস্যর   বিশেষজ্ঞ কমিটির উপর স্থিতাবস্থা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েদেয় – ‘ বেসরকারি স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখবেনা সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্টেই পূর্বেকার নির্দেশ পুন বিবেচনা করার আবেদন জানাতে হবে মামলাকারী কে’।  পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালত  জানিয়ে দিয়েছিল – ‘এই মামলার চুড়ান্ত নিস্পত্তি কিংবা পরবর্তী শুনানিতে কোন নির্দেশ না দেওয়া অবধি কার্যকরী হবেনা স্কুল বিশেষজ্ঞ কমিটি টি। গত ১৮ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সহ এডভোকেট জেনারেলের মনোনিত আরেক শিক্ষাবিদ কে নিয়ে দুই সদস্যর কমিটি গড়ে দিয়েছিল৷  গত ১৮ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বেসরকারি স্কুলে খরচ দেখতে আদালতের পক্ষে দুই সদস্যর কমিটি গড়াছিল। এই কমিটির একজন হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস মহাশয়। অপরজন কমিটির সদস্য নির্বাচনে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত মহাশয় কে দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্ট। ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলের খরচের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরেন এঁরা। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বেসরকারি স্কুলে বকেয়া ফি সংক্রান্ত মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলেছিল। সেখানে রাজ্যের ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলের ১৫ হাজার মত অভিভাবকদের পক্ষে দাবি জানানো হয়েছিল – ‘মামলার চুড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া অবধি যেন কোন স্কুল ফি না নেওয়া হয় ‘। অভিভাবকদের এহেন দাবি অবশ্য খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ পরিস্কারভাবে নির্দেশ দিয়েছিল – ‘ ১৫ আগস্টের মধ্যেই ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলে বকেয়া টিউশন ফির ৮০% যেন মিটিয়ে দেন অভিভাবকরা ‘। ওইদিন রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল উচ্চ আদালত কে জানিয়েছিলেন -‘বেসরকারি স্কুলে বাড়তি ফি মকুব নিয়ে রাজ্য সরকার এক সার্কুলার জারি করেছে। পাশাপাশি কোন অভিভাবক ফি দিতে না পারলে তার পড়ুয়া সন্তান যেন স্কুলের অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয় ‘। তবে বেসরকারি স্কুলের পক্ষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী সেদিন অনলাইন শুনানিতে জানিয়ে ছিলেন – ‘ রাজ্য সরকার ওই সার্কুলারে স্কুল ফি কম নেওয়া নিয়ে অনুরোধ করেছে মাত্র, কোন নির্দেশ অবশ্য দেয়নি। তাই স্কুল ফি কম নেওয়া নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বেসরকারি স্কুল গুলি করোনা আবহে ইতিমধ্যেই মোট টিউশন ফির ৩৫% কম নিচ্ছে ‘। ওইদিন আদালতে স্কুলের পক্ষে হলফনামা জমাও পড়ে। যেখানে স্কুল কর্মীদের বেতন, স্কুলের পরিকাঠামোয় উন্নয়ন সহ একাধিক তথ্য পেশ করা হয় হলফনামায়। গত শুনানিতে অভিভাবকদের একাংশের এই মামলার বিভিন্ন তথ্য সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ভৎসনা করে। আগামী দিনে এইরুপ শেয়ার পর্ব চালু না হয় সেই ব্যাপারে কড়া হুশিয়ারি দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। মার্চ মাসের শেষের দিকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন। যা এখনও চলছে ধাপে ধাপে। স্কুল – কলেজ, অফিস – আদালত একপ্রকার বন্ধ বলা যায়। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারেই বন্ধ। যেখানে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ সেখানে ক্রমাগত পড়ুয়াদের বেতন কেন দিতে হবে?  এই মর্মে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার বেসরকারি স্কুলগুলিতে দফায় দফায় চলেছিল অভিভাবকদের  বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি৷স্কুল হচ্ছেনা, অথচ বকেয়া ফি নেওয়া হচ্ছে পুরোপুরি, শুধুমাত্র টিউশন ফি নেওয়া হোক । তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এর বাকি বেতন নেওয়া চলবেনা। এই মর্মে বিনীত রুইয়া নামে এক অভিভাবক কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন৷ । আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার অনলাইন শুনানি চলেছিল। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ পরিস্কার ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল – ‘জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত স্কুলের বকেয়া  বেতন মিটিয়ে ফেলতে হবে ১৫ আগস্টের মধ্যে। যাদের আর্থিক অবস্থা করোনার জেরে বেহাল তাদেরকেও বকেয়া বেতনের অন্তত আশিভাগ মিটিয়ে দিতে হবে ‘। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলি কে এই ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় নির্দেশ দেওয়া হয় – ‘ ১৫ আগস্টের মধ্যে ৮০% ফি দিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের কে ‘। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের   ডিভিশন বেঞ্চে বেসরকারি স্কুলের খরচের বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহে দুজনের বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্ট এর তরফে । একজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস মহাশয় এবং অপরজন সদস্য মনোনয়নে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল মহাশয় কে দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্ট।এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যায় মামলাকারী। সেখানে মামলাটি পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুড়ান্ত নিস্পত্তি কিংবা পরবর্তী শুনানিতে কোন নির্দেশ না দেওয়া অবধি কার্যকরী হবেনা বেসরকারি স্কুল বিশেষজ্ঞ কমিটি টি অর্থাৎ কমিটির উপর সাময়িক স্থিতাবস্থা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীকে নির্দেশ পুন বিবেচনা করার আবেদনও সেই কলকাতা হাইকোর্টের কাছেই জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখবেনা সুপ্রিম কোর্ট। তাও সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আদেশনামায় উল্লেখ ছিল।  ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতার ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ কে নিজ নিজ স্কুলে সাত সদস্যর কমিটি করতে নির্দেশ দেয় । যেখানে প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের তিন শিক্ষক এবং ফি নিয়ে প্রতিবাদী অভিভাবকদের ( লটারির মাধ্যমে) তিন জন থাকবেন এই ফি পর্যালোচনা কমিটিতে। কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ – ‘প্রতিটি বেসরকারি স্কুলের পরিকাঠামো আলাদা তাই একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ কার্যকরী হবেনা, ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলে আলাদা আলাদা কমিটি হলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে ‘। গত ১৩ অক্টোবর কলকাতা  বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যেখানে ২০% স্কুল ফি তে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মকুব হয়েছে নন-একাডেমিক ফি। বাকি ৮০% স্কুল ফি নিয়ে অভিভাবকদের অভাব অভিযোগ শুনতে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছিল। যেখানে হেরিটেজ স্কুলের প্রিন্সিপাল , মামলাকারীর আইনজীবী , এবং ব্যারিস্টার তিলক বসু রয়েছেন৷ আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি এই কমিটি অভিভাবকদের স্কুল ফি নিয়ে অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে । তবে যারা স্কুল ফি মিটিয়ে দিয়েছেন তারা  জমাকৃত ফির অর্থ ফেরত পাবেননা বলেও জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।   এই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় দারস্থ হয় বেসরকারি কয়েকটি স্কুল। বুধবার অর্থাৎ আজ শুনানিতে গত ১৩ অক্টোবরের রায় কে একপ্রকার বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। স্কুলের ফি নিয়ে যে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান দিয়েছে। তা বহাল রাখলেও স্কুল ফি আরও কমানো নিয়ে যে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ জারী করেছে সুপ্রিম কোর্ট।                                    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *