ব্ল্যাক ফ্রাইডে মার্চ পালনে গ্রেপ্তার অকালি দলের শীর্ষ নেতা নেত্রী

Spread the love

‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে মার্চ’ পালনে গ্রেপ্তার অকালি দলের শীর্ষ নেতা নেত্রী 

আবুল কায়েম

কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন এক বছর পার করলো।আজ অকালি দলের পক্ষে ব্ল্যাক ফ্রাইডে মার্চ পালন করা হয়। তখন দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে অকালি দলের প্রধান সুখবির সিংহ বাদল ও সাংসদ হরসিমরত কাউর বাদল সহ বেশ কয়েকজন কে।১৪৪  ধারা ভাঙার জন্য পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। সুখবীর সিং বাদল বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিবাদ করতে এসেছিলাম। দিল্লি পুলিশ গায়ের জোরে আমাদের থামিয়েছে। তারা পাঞ্জাব সীমান্ত সিল করে দিয়েছিল। আমাদের কর্মীদের ওপরে লাঠিচার্জ করেছে।’ বাদল আরও জানান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার তাঁদের গুরুদোয়ারায় জমায়েত করতে নিষেধ করে। কেন্দ্রীয় সরকারও তাঁদের মিছিলকে এগোতে দেয়নি। অকালি নেতার দাবি, ‘আমাদের অগণতান্ত্রিক উপায়ে থামানো হয়েছে।’ তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভ হবে শান্তিপূর্ণ। এদিন অকালি দলের সমর্থক কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে জমায়েত করেন। তাঁদের আটকানোর জন্য পুলিশ পথে ব্যারিকেড করে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দু’টি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হরসিমরত কাউর বাদল। এদিন তাঁর পোস্ট করা এক টুইটে দেখা গিয়েছে, মধ্য দিল্লির গুরুদোয়ারা রাকাবগঞ্জ সাহিবের আশপাশে বড় সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছেন। তাঁরা ব্যারিকেড পেরিয়ে মিছিল করে এগোনর চেষ্টা চালাচ্ছেন।হরসিমরত কাউর বাদল টুইটারে লিখেছেন, দিল্লি পুলিশ শহরে ঢোকার রাস্তাগুলি সিল করে দিয়েছিল। অকালি দলের কর্মীদের গুরুদোয়ারা রাকাবগঞ্জ সাহিবে যেতে তারা বাধা দেয়। পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে যাতে মিছিল এগোতে না পারে। অকালি নেত্রীর বক্তব্য, দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। সুখবীর সিং বাদল দলের কর্মীদের বলেছিলেন, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গুরুদোয়ারা থেকে সংসদ অবধি মিছিল করা হবে। ওই পথের দূরত্ব বেশি নয়।গত বৃহস্পতিবারই পুলিশ বাদল ও অকালি দলের মুখপাত্র দলজিত্‍ সিং চিমাকে নোটিশ দিয়ে বলে, বিক্ষোভ মিছিল করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের যুক্তি, কোভিডের সময় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অবস্থায় কাউকে বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতি দেওয়া যায় না। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছর নভেম্বর মাস থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। বিভিন্ন বিরোধী দল তাঁদের সমর্থন করেছে। কৃষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছে সরকার। তবে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি।এই ঘটনায় চাঞ্চল রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *