সুকান্ত ঘোষ ,
এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ডাক্তারপল্লী হিসাবে সদর বর্ধমান শহরের খোসবাগান কে একডাকে সবাই চিনেন। শুধু দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদর বর্ধমানে আসেন অসংখ্য রোগী৷ নামি-অনামি ডাক্তারবাবুদের মধ্যে ভুয়ো ডাক্তারদের দৌরাত্ম চোখে পড়ার মত। ঔষধের দোকান থেকে প্যাথলজিক্যাল সেন্টার, নার্সিংহোম থেকে সরকারি হাসপাতালে। সর্বত্রই সিন্ডিকেটের দাপট দেখা যায়। দাবি, কোটি কোটি টাকার খেলা চলে এখানে। চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যু কিংবা ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর পরিবারই জানে – বাস্তব কতটা কঠিন। অভিযোগ, পুলিশ – প্রশাসন – শাসক দলের একাংশের মাসোয়ারাতে সব অভিযোগ চাপা পড়ে যায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয় । ম্যাসলম্যানদের প্রভাব কতটা তা যেকোন ঘটনা ঘটার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই টের পায় রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চিকিৎসায় অসাধু কারবার। একাংশ ডিগ্রিধারী ডাক্তারবাবু এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন।
হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের দেখা যায় ঔষধ দোকানে। খরিদ্দারের ( রোগী) অপেক্ষায়।দাবি মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের দাপট দেখা যায় হাসপাতালের ভেতর, এমনকি ডাক্তারবাবুদের কোয়ার্টারের দেখা যায় এদের কে ।