মন্তেশ্বরে কালিমাতা জাগ্রত, তাই ভক্ত আসে দূর দুরান্ত থেকে

Spread the love

শ্যামল রায় ,

মন্তেশ্বর থানার বামুনপাড়া পাড়া গ্রামের সিংহ বাড়ির পুজো তান্ত্রিক মতে বড়কালী অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধ সব অনুষ্ঠান।

আগে ছিল পারিবারিক পুজো এখন হয়েছে সার্বজনীন বড় কালীপুজো। এই বড় কালী পুজো ঘিরে নানান ধরনের কাহিনী এখনো বিদ্যমান। তবে ভক্তদের দাবি বড় কালী মাতার কাছে মানত করলে মনের আশা পুরন হয় তাই প্রতিবছর কালী পুজো উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন এবং তাদের মনের আশা পূরণ করবার জন্য মানত করে থাকেন। তবে এ বছর করো না পরিস্থিতির কারণে নানান ধরনের বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। ঢাক বাজানোর উপর বিধিনিষেধ ।আলোকসজ্জা হবেনা। মাক্স স্যানিটাইজার লাগাতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দিতে হবে।
সিংহ বাড়ির অন্যতম কর্তা মনি শংকর সিংহ জানিয়েছেন যে আমাদের পুজোর বয়স দুই শতাধিক বছর। কথিত আছে যে আমাদের পরিবারের কোনো এক সদস্য এক রাতের বেলায় স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে পাশে শীল পুকুরে একটি ঘট রয়েছে তোরা নিয়ে এসে পুজো করলে মঙ্গল হবে। ঘট প্রতিষ্ঠা কর এবং কালী মাতার পুজো কর। আদেশ পেয়ে পরের দিন সকালে শীল পুকুরে  ডুব দিলে একটি মাটির ঘট পেয়ে যান ওই সদস্য। সেই সময় কালে ঘর প্রতিষ্ঠা করে কালী মায়ের পুজো শুরু করেন। আজ এলাকাবাসীর কাছে বড় কালী মাতা পুজো হিসাবে পরিচিতি। এই পুজো তান্ত্রিক মতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেই ঘরটি মাটির ভিতরে পুতি দিয়ে এখানে স্থায়ীভাবে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন পরিবারের কর্মকর্তারা। পুজো ঘিরে যারা মানত করে মনোবাসনা পূরণ হয় সেই সমস্ত ভক্তরা দণ্ডী কেটে মায়ের পুজো দিয়ে থাকেন। এই প্রচলিত প্রথা আজও বিদ্যমান এবং পুজো কেন্দ্র করে ধুনুচি নাচ এলাকাবাসীর কাছে বড় আকর্ষণীয় বিষয় তবে এ বছর অনেকটাই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কোন অনুষ্ঠান হবে না তাই ধুনুচি নাচ কতটা হবে জানা সম্ভব নয় জানালেন কর্মকর্তারা। আরও জানা গিয়েছে যে এই গ্রামে নয়টি কালীপুজো হয়ে থাকে বিসর্জনের দিন প্রত্যেক কালীমাতা বড় কালী মাতার কাছে আসার পরে বিসর্জন হয়। বড় কালী মাতা ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বিসর্জনে দিতি আজও বিদ্যমান। আরো কথিত যে এই কালীমাতা তৈরীর প্রস্তুতি কিন্তু ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যায় এবং এদিন কালীমাতার পূজা অনুষ্ঠিত করে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। আজ সার্বজনীন কালী মাতা পুজো হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তাই সকলের আর্থিক সাহায্য নিয়ে বড় কালী মাতা পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তার প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে। তবে এ বছর কোন অনুষ্ঠান হবে না। আলোকসজ্জা হবে না ।এবং বিধি-নিষেধ নিয়ম মেনেই পুজো অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে পুজো কমিটি তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *