মহাসমারোহে গুসকরা পুরসভায় পালিত হলো বিশ্বকর্মা পুজো

Spread the love

মহাসমারোহে গুসকরা পুরসভায় পালিত হলো বিশ্বকর্মা পুজো

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

প্রতিটি শুরুরও একটা শুরু থাকে। যাকে বলে প্রস্তুতি পর্ব। শুরুর আগেই দিতে শুরু করে ইঙ্গিত। শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা বুঝিয়ে দেয় সামনে পরীক্ষা, সাদা কাশফুল শরতের ইঙ্গিত বয়ে আনে, উত্তুরে শীতল বাতাসের হাত ধরে বাক্সবন্দী শীতের পোশাকের মুক্তি ঘটে, তরুণ-তরুণীর নয়নে প্রেমের নেশা লাগলে বোঝা যায় বসন্ত এসে গেছে। তেমনি বিশ্বকর্মা পুজো বয়ে আনে প্রাক্ দুর্গাপুজোর ইঙ্গিত, আনন্দ। মা দুর্গার হাতের কুঠার বিশ্বকর্মার হাতে তৈরি হলেই ‘মা’ যেন কৈলাস থেকে চলে আসেন মর্ত্যধামে।

স্থাপত্য, ভাস্কর্য, ধাতুশিল্প সহ যে কোনো নিৰ্মাণ শিল্পের দেবতা হলেন এই বিশ্বকর্মা। তাইতো নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিকে সামনে রেখে হয় এই পুজো।

গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এবং পুরসভার কর্মী ও তাদের পরিবারের কচিকাচাদের উপস্থিতিতে গোটা রাজ্যের সঙ্গে গুসকরা পুরসভার উদ্যোগে ১৮ ই সেপ্টেম্বর নবনির্মিত শেডের নীচে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো।

পুরোহিতের সঙ্গে পুজোর ঘট আনতে দেখা যায় পুরসভার চেয়ারম্যানকে। তার পাশে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা। পুজোর সময় উপস্থিত কচিকাচাদের মধ্যে যথেষ্ট আনন্দ দেখতে পাওয়া যায়।

মূলত নিৰ্মাণ শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো কলকারখানায়, বিভিন্ন গ্যারেজে বা বাসস্ট্যান্ডে বেশি হয়। পুরসভার নিজস্ব কারখানা না থাকা সত্ত্বেও কেন এই পুজোর আয়োজন?- এই প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি জঞ্জালবাহী গাড়ি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জলবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি আছে। তাই রীতি মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এখানে বিশেষ কোনো ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। সমস্ত ধর্মের মানুষ গাড়িগুলির চালক হিসাবে কাজ করে। সুতরাং অযথা বিতর্কের কোনো অবকাশ নাই। তাছাড়া ওরা তো নিত্যদিন নিজেদের দায়িত্ব পালন করে। একদিন যদি একটু আনন্দ করে তাতে সমস্যা কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *