দীপঙ্কর চক্রবর্তী
মাত্র ৬৫ বছর বয়সেই সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন বাংলা ব্যান্ডের মহিনের ঘোড়াগুলির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গায়ক,লেখক রঞ্জ্ন ঘোষাল।রন্জন বাবুর বাবা এক সময় পূর্বস্হলী থানার ও,সি ছিলেন।সেখান থেকে প্রমোশন হয়ে গলসি,আসানসোল,মেমারী ও পরে কলকাতায় দক্ষ পুলিশ অফসার হয়ে অবসর নেন।রন্জন বাবু পূর্ববর্ধমানের মেমারিতে জন্ম গ্রহন করেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইম্জিনিয়ারওং এ স্নাতক হন।১৯৭৫ সালে বাংলা ব্যান্ডের পথিকৃত গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মহিনের ঘোড়াগুলি নাম দিয়ে বাংলা ব্যান্ড সৃষ্টি করেন।রন্জন বাবু ছিলেন এই ব্যান্ডের উপস্হাপক।তারা এক সাথে বহু অনুষ্ঠান করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫,৩০ মিনিটে বেঙ্গালুরুরতে নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।স্ত্রী সঙ্গীতা ও দুই ছেলেকে রেখে গেলেন।পারিবারিক উৎসব,অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতি ডিসেম্বরে কলকাতায় আসতেন সপরিবারে বাঘাযতীনের বাড়িতে।রন্জন বাবুকে দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেলে কখন গায়ক,আবৃত্তিকার,সন্চালক হিসাবে দেখা যেত।বেশি দিন দেখা গেছে ই, টিভিতে প্রতি রবিবারের আড্ডাচক্রে।তিনি বহু অনুগল্প,অনু কবিতা লিখেছেন।স্ত্রী সঙ্গীতা দেবীকে নিয়ে বেঙ্গালুরু সহ অনেক জায়গায় বহু নাটক করেছেন।তার দুই ছেলের পৈতের নেমন্তন্ন চিঠিতে পৈতে পিঠ চুলকোতে আর শীতকালে ঠান্ডায় স্নান না করে শুধু পৈতে ভিজিয়ে বাইরে এসে মা কে দেখিয়ে পৈতে থেকে জল বের করার মধ্যে দেখান স্নান করা হয়েছে এই হাসির বয়ান লেখা সকলেই উপভোগ করেছিল।তিনি তার পরিবারের সাথে তিন দাদা এক ভাই,অসংখ্য আত্মীয় পরিজন ও অসংখ্য ুগুনগ্রাহী রেখে গেলেন।পূর্বস্হলীর পারুলিয়াতেও তিন এসেছিলেন।