মা
অনামিকা বোস
মা…,মা…….
মা গো মা তুমি কোথায়…….?
আবার কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে !
সারাদিনের শেষে মা তোমার মুখটা না দেখতে
পেরে হাপিয়ে গেছি যে ৷
কতো কথা জমে আছে সব বলতে হবে যে ,
জানো আজ কি কি হয়েছে ? তুমি শুনলে হয়তো আমার কানটি মুলে দেবে ৷
তবুও তোমাকে না বলে যে আমি থাকতেই পারবো না।
তুমি যে আমার সব থেকে বড়ো ভরসার জায়গা ,
তুমি যে আমার প্রিয় বন্ধু ৷
ছোটো থেকে তোমার আঁচল ধরে সারাক্ষণ তোমার পিছন পিছন ঘোরা ৷
যা কিছু জীবনে শিখেছি সবই যে তোমার হাত ধরে।
তোমার নানা কাজের ফাঁকে একটাই উদ্যেশ্য ছিল আমাকে সঠিক ভাবে মানুষ করে গড়ে তোলা ৷
তোতা পাখির মতো কথা বলে বলে আমার মুখে বুলি ফুটিয়েছো ৷
আর আমি অবাক নয়নে তোমাকেই অনুকরণ করেছি ৷
যখনই খুব আঘাতে কষ্ট পেয়েছি তখনও প্রথম ডাকটাই মা বলে কেঁদে উঠেছি ৷
মা তোমাকে ছাড়া আমি যে অচল খুবই একা…
এখন আমি বড়ো হয়েছি শিক্ষিতা হয়েছি তাই একাই বেশ আছি ….
নিজের একটা জগত বানিয়ে হারিয়ে গেছি মা গো ….
এখন চাইলেও আর তোমার হাতটা আঁকড়ে ধরতে পারি না ….
তোমার শূন্যতা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ৷
মা তুমি কেন বিয়ে দিয়ে পর করে দিলে আমাকে …….?
তুমিও যে কষ্ট পেয়েছো অনেক …..,
আদরের বুকের ধনকে তোমার থেকে আলাদা করে দিয়ে ৷
বড়ো সাধ হয় আবারও যেন সেই ছোট্ট সোনা মেয়ে হয়ে তোমার কোলে ফিরে যাই …মা……..৷৷