মৈপীঠে ধরা পড়লো ঘাতক রয়েলবেঙ্গল টাইগার

Spread the love

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় ,

: সুন্দরবনের লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ আতঙ্কে গত তিন-চার দিন যাবৎ আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। গত শুক্রবার কুলতলি থানার মধ্য গুড়গুড়িয়া হালদার ঘেরীতে বলাই দাস ও সনৎ বৈদ্য নামে দুই মৎস্য জীবী ২৫-৩০ ফুট দূরত্বে নদীর বাঁধের উপর একটি বাঘকে দেখতে পায়। তাদের চিৎকারে বাঘটি নদী বাঁধ থেকে সরে তখনকার মতন জঙ্গলে ঢুকে যায়। তাঁর দু দিন পরেই গত সোম বার সন্ধ্যায় মৈপীঠ উপকূল থানার বৈকুন্ঠপুর ৬ নং এলাকার ভীম নায়েক নামে এক ব্যক্তির জঙ্গল লাগোয়া বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়ে আরো একটি একটি বাঘ। সে একটি গরু কে মেরে রাস্তায় বসে পরে। ওই দিন রাতের বনকর্মীদের ও গ্রামবাসীদের চেষ্টায় বাঘটি অবশেষে জঙ্গলে চলে গেলে ও নিশ্চিত হতে পারছিলো না গ্রাম বাসী সহ বনকর্মীরা। তাই পরের দিন মঙ্গলবার সকালবেলা বনকর্মীরা জলপথে ও আকাশপথে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালায়। এবং জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করে। তাতে দেখা যায় আগের দিনের রাতের বাঘের পায়ের ছাপের সাথে এই পায়ের ছাপের তফাৎ আছে। তখন তাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আর ও একটি বাঘ আছে। এদিন বেলায় বনকর্মীদের খোঁজাখুঁজির সময় তাঁরা দেখে একটি বাঘ নদী সাঁতরে জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। তাই আর একটি বাঘকে ধরতে আজমমালির জঙ্গলে ৩ টি খাঁচা পাতে ছাগলের টোপ দিয়ে। আর তাতেই মঙ্গল বার রাতে একটি বাঘ ধরা পড়ে। বুধবার সকালে বন কর্মীরা খাঁচায় বন্দী বাঘটিকে ঝড়খালি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। বন দফতর সূএে জানা গেল, বাঘটির বয়স হয়েছে এবং সে অসুস্থ। তাই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে। আপাতত বাঘটিকে ঝড়খালি বাঘ পূনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করা হবে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেল, বাঘটির বয়স হয়েছে।তাই শারীরিক ভাবে অসুস্থ।উল্লেখ্য, আমফানের পর থেকে সুন্দরবনে বাঘের আক্রমন বেড়ে গেছে। সুন্দরবনের নদী বেষ্টিত এলাকায় জঙ্গলের নাইলনের তার বহু অংশে ছিড়ে রয়েছে এবং সেই অংশ দিয়ে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।প্রায় সময় নদী তীরবর্তী এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হচ্ছে মৎস্যজীবীরা তাই মৎস্য জীবিদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে যে, এই লাইলনের জালের কি ভালোভাবে লাগানো হবে না। তবে সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য বনদপ্তর থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন আপাতত দক্ষিণরায়ের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন কুলতলি ও মৈপীঠ এলাকার স্থানীয় মানুষজন। –+++—-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *