রেল বাঁচাও কর্মসূচি পালনে চিত্তরঞ্জনে সত্যাগ্রহ

Spread the love

রেল বাঁচাও কর্মসূচি উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন শহরে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মহা মিছিল

কাজল মিত্র,

:- 2 রা অক্টোবর মাহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে “চিত্তরঞ্জন বাঁচাও সত্যগ্রহ আন্দোলনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয় চিত্তরঞ্জন এনেফাইয়ার শ্রমিক সংগঠন সহ চিত্তরঞ্জন কারখানার সমস্ত শ্রমিক সংগঠন গুলি ।এদিন
চিত্তরঞ্জন শহরের বুকে রেলের বেসরকারি করনের বিরুদ্ধে চিত্তরঞ্জন তিননম্বর গেটের কিছুটা দূরে এই সত্যাগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় যেখানে সকাল 10 টা থেকে সকল শ্রমিক সংগঠন সহ এনএফআইআর এর শ্রমিক সংগঠনের সকল কর্মী বৃন্দ এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ।এদিন সকল কর্মী সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন যে বর্তমানে কেন্দ্র সরকার করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে সকল সরকারী সংস্থাগুলি বিক্রি করছে।যে কারখানার জন্য আমাদের পূর্ব পুরুষেরা রক্ত দিয়ে কারখানা গড়ে তুলেছিল সেই কারখানা আজ বিজেপি সরকার কেন্দ্রে আসতেই একে একে বিক্রি করতে শুরু করেছে ।তাছাড়া আমাদের এক চিত্তরঞ্জন কারখানার ঐতিহ্য ময় তীর ধনুকের লোগো সেটিও সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে ।তাই ওই প্রতীক চিহ্ন কোনমতেই সরানো যাবেনা ।এই দিন এই মঞ্চ থেকে
এনএফ আই আর ও জয়েন্ট একসেন কমিটির সম্পাদক নেপাল চক্রবর্তী জানান যে বিজেপি সরকার যেভাবে দেশের 42 টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা বিক্রি করছে তার প্রতিবাদে আজ এই আন্দোলন ।এদিন সকলে
২ অক্টোবর গান্ধীজীর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন তিন নম্বর গেট থেকে ঐতিহাসিক মিছিলের মধ্যে দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চিত্তরঞ্জন শহরের প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করেন ।মহিলা পুরুষ সহ আট থেকে আশি সকলেই পা মেলায় এই মহা মিছিলে ।মিছিল পরিক্রমা করে পুনরায় তিননম্বর বন্ধুমহল ময়দানে শেষ হয় ।

এদিন এই মিছিলে বিজেপি হাটাও স্লোগানের মধ্যদিয়ে বিজেপির সকল দুর্নীতির কথা তুলেধরেন যেখানে ইউপির মত বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন যেভাবে একের পর এক মহিলা ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে নির্যাতিত ও ধর্ষিত হচ্ছে এতে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে উচিত ।তাছাড়া বিজেপি যতদিন থাকবে ততদিন কারো কোন নিরাপত্তা নেই এদিন সিএর এমসি সংগঠনের এস কে লাহা বলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে 42 টি সরকারি সংস্থা বেসরকারীকরণ করতে চলেছে । বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া, রেল, সেল, আইএসসিএ,এইচসিএল ইত্যাদি সহ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাটিও আদানি আম্বানি দের হাতে বিক্রি করতে চাইছে। ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন কেন্দ্রীয় সরকার জনসাধারণ বিরোধী,শ্রম বিরোধী, মজদুর বিরোধী ,সমাজ বিরোধী কাজ করে চলেছে । তার প্রমাণ এই বারের বাজেটেই বোঝা গেছে।দেশ জুড়ে বেসরকারী করণের পাশাপাশি চিত্তরঞ্জনেও লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালু থাকবে তাছাড়া দলগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসংস্থানের জন্য দৃঢ়ভাবে লড়ে যাবে।
এদিন মহা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিআরএমসি এনএফআই নেতা এস কে লাহা, নেপাল চক্রবর্তী ,অশোক চৌধুরী, নির্মল মুখার্জি, সমাজ সেবী সত্য নারায়ণ মন্ডল ,গুলাপ যাদব, জনার্দন সিং, অর্ধেন্দু মুখার্জি,, সমাজ সেবী ভোলা সিং, বাবলু ঘাসি, তাপস চৌধুরী,শ্যামল গোপ, মিঠুন মন্ডল, বীর সিং, জয়দেব রায় সহ অনেকে ।।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *