সেখ সামসুদ্দিন,
উত্তরপ্রদেশে হাতরাস ধর্ষণকান্ডে যোগী সরকারের পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সারা দেশের মানুষ। একজন মহারাজ মুখ্যমন্ত্রীর কূর্সিতে বসে পুলিশকে দিয়ে ধর্ষিতার পরিবার সহ গ্রামবাসীকে ঘরে আটকে রেখে হাসপাতাল থেকে ধর্ষিতার মরদেহ হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়ে শ্মশানে দেহ পুড়িয়ে দিয়ে ধর্ষণকারীদের আড়াল করার প্রচেষ্টার সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা ও সাংসদদের পথ আটকে তাদের উপর পুলিশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ধিক্কার মিছিল, মোমবাতি মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। মেমারি শহর সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে মেমারি থানার সন্নিকট হতে মেমারি শহর পরিক্রমা করে মেমারি পুরসভার সামনে শেষ হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সহ পুরপ্রশাসক সুপ্রিয় সামন্ত, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শহর মহিলা সভানেত্রী মানসুরা বেগম, যুব সভাপতি সৌরভ সাঁতরা, যুবনেতা ফারুক আব্দুল্লা, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, সমস্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর, দলের একনিষ্ঠ কর্মী অজিত সিং, সেখ কুতুবউদ্দিন, সমস্ত ওয়ার্ডের সভাপতি বা সদস্যবৃন্দ। এক কথায় ঘরের কোণে বসে যাওয়া বলতে সকলেই এই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়ে বিজেপির যোগী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এবং দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টির দায়ভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিতে হবে বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে এই প্রতিবাদ সভায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন দেশের সবকিছু বিক্রি করে দেয়া দলের হাতে রাজ্য তুলে দিলে রাজ্যের উন্নয়ন বন্ধ করে রাজ্যটাকেও বেচে দেবে। এদিন মেমারি ১ ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দুর্গাপুর অঞ্চল সহ বিভিন্ন অঞ্চলে মোমবাতি মিছিল করে প্রতিবাদ জানান। মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনেও প্রতীকি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। সর্বত্র মধুবাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম সহ শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ। মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়া বাজারে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন দুই বিধায়ক নার্গিস বেগম ও সৈকত পাঁজা সহ মেমারি ২ এলাকার সকল শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব।