২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্লাস্টিক ও পলিমার শিল্পের জন্য প্রাক-বাজেট প্রত্যাশা

Spread the love

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্লাস্টিক ও পলিমার শিল্পের জন্য প্রাক-বাজেট প্রত্যাশা

জিগীষ দোশী, প্রেসিডেন্ট, প্লাস্টইন্ডিয়া  ফাউন্ডেশন

Kolkata, 4 January 2023:

প্লাস্টইন্ডিয়া  ফাউন্ডেশন সরকারকে পলিমার আমদানি কমাতে এবং দেশীয় প্লাস্টিক শিল্পকে সমর্থন করার জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট 2023-24-এ ফিনিশড প্লাস্টিক পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন 2023-24 আর্থিক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে প্রস্তুত। প্লাস্টইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আশাবাদী যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী পুরো প্লাস্টিক শিল্পের সামগ্রিক বৃদ্ধি বিকাশ এবং কাঁচামাল রূপান্তরকারী থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারকদের কথা মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করবেন। প্লাস্টইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য হল ভারতীয় প্লাস্টিক শিল্পকে একটি উচ্চ বৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের লক্ষ্যে যে 2025 সালে USD 5 ট্রিলিয়ন থেকে 2045 সালের মধ্যে USD 25 ট্রিলিয়নে পৌঁছোনো I

এই বৃদ্ধি অর্জন করতে এবং ভারতকে প্লাস্টিকের জন্য বিশ্বব্যাপী সোর্সিং হাব করে তুলতে, প্লাস্টইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন মেক ইন ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করে৷ কিন্তু এই কাজকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে আমাদের সরকারের সমর্থনের  প্রয়োজন:প্লাস্টইন্ডিয়া

Ø  পলিমারের আমদানি  শুল্ক ৫-৭.৫% হওয়া উচিত। ভারতে বৃহৎ  হারে পলিমার উৎপাদন  হয় না এবং তাই আমদানি বাধ্যতামূলক। পলিমারের আমদানি শুল্ক তাই কম করার দরকার যাতে প্রতিযোগিতার বাজারে ভারতীয় প্লাস্টিক  শিল্প  সুবিধা পেতে পারে ।

Ø  ফিনিশড প্রোডাক্টের ওপর কাস্টম ডিউটি ২০% বা তার বেশি হওয়া উচিত যাতে ঘরোয়া প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সুবিধা পায়।

Ø  সরকার পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের ওপর জোর দিচ্ছেন, যা প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির সামনে একটা সুযোগ এনে দিচ্ছে। যদিও বর্তমানে ৯০% সোলার প্যানেল, উইন্ড মিল ও তার উপাদান আমদানি  করা হচ্ছে  এবং সেগুলিকে কেবলমাত্র ভারতে অ্যাসেম্বল করা হয়ে থাকে, ভারতীয় নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে যদি ইভিএ, ব্যাকশিট, মেটাল ফ্রেম, সোলার গ্লাস এগুলো আমদানি  শুল্ক ২০% করা হয়, তাহলে ভারতীয় প্লাস্টিক  ইন্ডাস্ট্রি ইভিএ এবং ব্যাক শিট প্রস্তুতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারবে ।

ভারতীয় শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করতে মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে নিম্নলিখিত  বিষয়গুলি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করব:

Ø  ৫ টাকার চেয়ে কম দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ । ভারতে বিদ্যুতের দাম খুব বেশি এবং পাওয়ার ফ্লাকচুয়েশন খুব বেশি । যে দরের কথা এখানে উল্লিখিত হল তা প্রতিবেশী দেশের তুল্য যারা স্বল্প ব্যয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম ।

Ø  ভারতে শ্রম আইন আরও মুক্ত হওয়া উচিত। মজুরি এত উচ্চ হওয়া উচিত নয় যে উৎপাদনকারী  উদ্যোগগুলি আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতার উপযোগী হতে অসুবিধায় পড়ে। শ্রম আইন যেন কেন্দ্রীয় সরকারে অধীনে থাকে এবং দেশজুড়ে  টায়ার ১, টায়ার ২ এবং টায়ার৩ শহরাঞ্চলে, মজুরি একই হারে থাকে।

Ø  সমস্ত ধরনের প্রোডাক্ট ক্যাটেগরিতে জিএসটি 12% এর বেশি হওয়া উচিত নয় ।

Ø  সরকার অকৃষি জমিগুলি চিহ্নিত  করে সেই জোনগুলি থেকে সহজেই শিল্পের জন্য জমি দিতে পারে যাতে শিল্পোদ্যোগগুলিকে কৃষিজমি কে অকৃষি জমিতে পরিণত করার আনুষ্ঠানিকতা না করতে হয়। তাছাড়াও সরকার কোনো সূত্র নির্ণয় করে উন্নীত জমিগুলিকে কারখানা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি  লিজ দিতে পারে। এতে জমিতে লগ্নির খরচ কমবে এবং ভারতীয় শিল্পোদ্যোগ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারবে। বর্তমানে জমির দর এত বেশি যে প্রকল্প ব্যয় আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে। চিন এই ফর্মূলাটি দীর্ঘ দিন যাবৎ  ব্যবহার করে চলেছে।

Ø  ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি থেকে শিল্পোদ্যোগগুলি সহজে যুক্তি সংগত সুদে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা  থাকা দরকার ।

Ø  আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টি ন্যূনতম হওয়া দরকার । তাছাড়া প্রযুক্তিগত কোনো ভ্রান্তি  ঘটলে তা দেখার জন্য পৃথক কোর্ট থাকা প্রয়োজন । এটাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে দেখা উচিত নয় ।

সামগ্রিকভাবে, আমরা এমন একটি বাজেট আশা করছি যা শিল্প-বান্ধব এবং দেশীয় প্লাস্টিক শিল্পকে আরও গতিশীল এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *