কাজল মিত্র,
বন্ধুদের সাথে দীঘায় ঘুরতে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু এক যুবকের গাড়ির ভেতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার
:- নতুন বছরে দীঘায় নিজ গাড়িতে করে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু ঘটলো এক যুবকের।সালানপুর থানার ক্ষুদিকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম বঙ্কিম দে(২৪ )। দীঘা থানার পুলিশ যুবকের মৃত্যু ঘটনাকে,দুর্ঘটনায় মৃত্যু বললেও মৃতের পরিবার লোকজন তা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।গাড়ির স্টিয়ারিং তার বুকে চেপে বসে যাওয়ায় তার মৃত্যু বলে জানান দিঘা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ক্ষুদিকা গ্রামের বাসিন্দা বঙ্কিম দে নিজের গাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দীঘা গিয়ে ছিলেন নতুন বছরের ছুটি কাটানোর জন্য।গত ১ জানুয়ারি দীঘা থানা থেকে পুলিশ খবরদেয় সালানপুর থানায় যে,সেখানে এক দুর্ঘটনায় বঙ্কিমের মৃত্যু হয় কিন্তু তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বন্ধুদের গাড়িতে পাওয়া যায়নি।তারা নাকি এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে।সালানপুর থানার পুলিশের কাছে থেকে এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদিকা গ্রাম থেকে বঙ্কিমের পরিবারের লোকজন দীঘায় ছুটে যান।কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা দেখেন বঙ্কিমের গাড়িতে সামনের দিকের নাম্বারপ্লেট কিছুটা তেবড়ে আছে।বাকি গাড়ির কাঁচ সহ অন্যান্য সব কিছুই অক্ষত আছে।কিন্তু গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকা মৃত অবস্থায় বঙ্কিমকে পুলিশ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় পরিবারের লোকজন আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে আদৌ এটি দুর্ঘটনা না,কি অন্য কিছু।
আরো জানা গেছে,বছর চব্বিশের বঙ্কিম দের বাবা সন্দীপ দে চাষ বাস ও সবজি ব্যবসার করেন।বঙ্কিম আসানসোলের বার্ণপুরে একটি বড় ইলেকট্রনিক্স সংস্থার স্থায়ী কর্মী।সেখান কার সহকর্মী দের সঙ্গে নিয়ে সে নিজের কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড অল্টো গাড়িতে দীঘায় গিয়েছিল।
কিন্তু বঙ্কিমের সেই বন্ধুদের কোন পাত্তা পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজনেরা।
পরিবারের তরফে জানানো হয় যদি গাড়ির দুর্ঘটনায় বঙ্কিমরে মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে গাড়িতে থাকা অন্যরাও তো আহত হতো।অথবা গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো কিন্তু সে সব কিছুই তারা দেখতে পাননি দীঘায় গিয়ে।
সালানপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,১ জানুয়ারি রাতে দীঘা পুলিশের কাছ থেকে তাদের কাছে খবর আসে যে, সেখানে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সেই দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।সেই যুবকের ঠিকানা ক্ষুদিকা গ্রামের বঙ্কিম দে নামক এক যুবক এর বেশি তারা আর কিছু জানাতে পারেননি। পুলিশ জানায়,দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে বঙ্কিমের মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার হবে না।
জানা গেছে, বঙ্কিমের সঙ্গে গ্রামের কোন যুবক ছিলেন না।বার্ণপুরে যে কোম্পানীতে সে কাজ করে, সেই কাজের জায়গার সঙ্গীরা তার সঙ্গে ছিলো। আরো জানা যায় যথেষ্ট ভাল রোজগেরে বঙ্কিম এর আগেও কয়েকটি গাড়ি কিনে বিভিন্ন কোম্পানিতে ব্যবহার করার।জন্য দিয়েছে। কিন্তু দীঘায় গিয়ে মোহনার কাছে তার কিভাবে মৃত্যু ঘটলো তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধে রয়েছে।
রবিবার সকালে বাড়ির সদস্যরা দীঘা থেকে বঙ্কিমের মৃতদেহ ক্ষুদিকা গ্রামে নিয়ে আসেন।এখানে এসে তার দেহ সৎকার করা হয়।বাড়ির সদস্যরা জানার চেষ্টা করছে,বঙ্কিমের সঙ্গে কারা দীঘায় ঘুরতে গেছিলো।পুলিশ তরফে জানানো হয় নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত শুরু করা হবে।