নির্মলেন্দু চৌধুরী ও উৎপলেন্দু চৌধুরীর স্মরণে অনুষ্ঠিত হলো লোক ভারতী আয়োজিত লোকগানের আসর
……………………………………….
ইন্দ্রজিৎ আইচ
……………………………………….
প্রতি বছরের মতো এবারো লোক ভারতী গত ২৬ মার্চ
বুধবার সন্ধ্যায় সল্টলেক রবীন্দ্র
ওকাকুরা ভবন মঞ্চে আয়োজন করেছিল লোকগানের পরম্পরা নামে এক ভিন্ন ধরনের
লোকগানের আসর। এই লোক ভারতী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন অতীত দিনের কিংবদন্তি
শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরী। দেশ ও বিদেশে লোক গানের প্রচার এবং প্রসারে তিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন । পরবর্তী সময়ে নির্মলেন্দু চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র উৎপলেন্দু চৌধুরী লোক গান পরিবেশনের পাশাপাশি তার বাবার প্রতিষ্ঠা করা সংস্থা লোক ভারতীর হয়ে অনেক অনুষ্ঠান এই লোকগানের ওয়ার্কশপ, নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের তালিম দেওয়া ও উপস্থাপনায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। আজ এই দুই মহান শিল্পী কেউ তাঁরা বেঁচে নেই। কিন্তু নির্মলেন্দু চৌধুরী উৎপলেন্দু চৌধুরীর স্মরণে প্রতি বছর এই লোক ভারতী অনুষ্ঠান করে চলেছেন নির্মলেন্দু চৌধুরীর পুত্রবধূ উত্তরা চৌধুরী।
তিনি এইদিন জানালেন আমরা লোক ভারতীর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামীদিনে লোক গানের প্রচার – প্রসার যেমন করে যাবো, পাশাপাশি ওয়ার্ক শপ, লোক গানের নতুন শিল্পীদের সুযোগ দেওয়া এই কাজ গুলো চালিয়ে যাবো।
এইদিন ওকাকুরা মঞ্চে লোক গানের আসর মাতালেন অমিত গুহ, শম্পা বিশ্বাস, রাজকুমার রায়, দেব চৌধুরী ( সহজিয়া ), সুরমা পিয়াসী ( সম্মেলক ), এবং সন্দিতা সাউ ( নবীন প্রতিভা )। অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্দিতা সাউ তার সুন্দর কন্ঠে শোনালেন বসন্ত বহিল সখী, তোমরা গেলে কি আসিবেন মাউথ বন্ধু রে। অমিত গুহ গাইলেন লালন সাঁই এর গান
সব লোকে কয় লালন ফকির…এছাড়া অসাধারণ গাইলেন নিমতিতা নিসিন্ধ্যা তিতা এই গানটি। রাজ কুমার রায় সকল শ্রোতাদের মন ভরালেন গুরু তোমার দয়া ও প্রেম জানে না এই দুটি গানে। সুরমা পিয়াসী ( সম্মেলক ) তারা
পরিবেশন করেন সুরোধনীর কিনারায়, আমার বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না। শম্পা বিশ্বাস শোনালেন এই পৃথিবী যেমন আছে, তুমি আমার আমি তোমার, আমি অপার হয়ে বসে আছি, উতল হাওয়া। এইদিনের
শেষ শিল্পী দেব চৌধুরী ( সহজিয়া ) শোনালেন তার সুললিত কন্ঠে যে জন প্রেমের বাঁধ জানে না, আব্দুল করিম এর গান কথা কও না কাছে নাও না…..। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীপর্ণা আঢ়্য। শিল্পীদের সঙ্গে বাদ্য যন্ত্রে সঙ্গত করেন পারকাসানে গৌতম বৈদ্য, তবলায় শঙ্কর সাহা, বাঁশিতে শেখর দেউরি এবং কি বোর্ডে ছিলেন ইন্দ্রনীল রায়।সকল শিল্পীদের হাতে লোক ভারতীর স্বারক তুলে দেন লোক ভারতীর প্রধান উত্তরা চৌধুরী। সব মিলিয়ে জমে উঠেছিলো লোক ভারতী আয়োজিত এই লোক গানের আসর।