সেখ সামসুদ্দিন
আজ টান টান উত্তেজনার মধ্যে থাকা মেমারি ১ ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। কার্যত মেমারিতে দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছিল বলা যায়। সেইরকম পরিস্থিতিতে মেমারি ১ ব্লক সভাপতি পুনর্বারের জন্য ঘোষিত হল মধুসূদন ভট্টাচার্যের নাম এবং একই সঙ্গে রক্ষা হল উদ্ভুত সংঘর্ষ পরিস্থিতির। অপরদিকে মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হলেন দীর্ঘদিনের সংগ্রামী নেতা অচিন্ত্য চ্যাটার্জী। সহ সভাপতি হলেন যুব নেতা আশিষ ঘোষদস্তিদার। মেমারি শহর যুব সভাপতি সৌরভ সাঁতরা এবং ব্লক যুব সভাপতি হলেন জিতেন্দ্র সিং ওরফে মেমারি কলেজের কর্মী লালু। তবে ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পর মধুসূদনবাবু তার অনুগামীদের কোনরূপ বাজি ফাটানো বা আবির খেলায় মেতে ওঠা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। অতি উৎসাহী বা আশাবাদীরাও দলেরই ছেলে, তারা ভুল করলেও মধুসূদনবাবুর অনুগামীরা যেন সেই ভুল না করেন, সে বিষয়ে সদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন। বিশেষ করে প্ররোচনায় পা না দিতে উপদেশ দেন। যদিও ব্লক নেতৃত্ব ও গন্তার ১ অঞ্চল নেতৃত্ব তাঁকে গন্তারেই উত্তরীয়, ফুলের মালা, পুষ্পস্তবক ও মিষ্টি মুখ ইত্যাদি কর্মসূচিতে শুভেচ্ছা জানান মধুসূদনবাবুকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম, ছাত্রনেতা রাহুলদেব ঘোষাল, যুবনেতা সন্দীপ পরামানিক, বাগিলা অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি অর্ক ব্যানার্জী, এসটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ সরেন, গন্তার ১ জিপির প্রধান সহ সদস্যবৃন্দ, দেবু ক্ষেত্রপাল, রামকুমার মন্ডল প্রমুখ। গন্তার থেকে ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে তক্তিপুর-কৃষ্ণপুর মোড়ে বাগিলা অঞ্চল নেতৃত্ব ও ই-রিক্সা সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেন ব্লক সভাপতিকে। তারপর মধুসূদনবাবু সদলবলে তক্তিপুরে থাকা দুই পীরের মাঝারে গিয়ে প্রণাম করে ধূপ দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন। এছাড়াও মেমারি শহর সভাপতি স্বপন বিষয়ী এবং মেমারি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অধ্যাপক ডঃ আবুল হাসেম মন্ডল সাহেবকে তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি এবং ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জীকে জেলা যুব সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষিক্ত করা হয়।