সাধন মন্ডল,
কুড়মি সম্প্রদায়ের ডাকা বনধে বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলে ব্যাপক সাড়া পড়ল। জঙ্গলমহলের খাতরা মহকুমার রায়পুর, রানীবাঁধ, সারেঙ্গা ও সিমলাপাল থানা এলাকায় জনজীবন স্তব্ধ ছিল। বন্ধ ছিল সরকারি ও বেসরকারি যান চলাচল ও দোকানপাট ।কুড়মি জাতিকে এসটি তালিকাভুক্ত করতে হবে এই দাবিতে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে আন্দোলন করে আসছেন। হুড়কা জাম, রেল রোকো,থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ভাবে গন আন্দোলনে শামিল হয়েছেন আজ তারাই বনধের ডাক দিয়েছিলেন এদিনের এই বন্ধে দঙ্গলমহলে ব্যাপক সাড়া পড়লো। চলেনি কোন যানবাহন খোলেনি দোকানপাট তবে সরকারি অফিস আদালত খোলা ছিল ব্যাংক খোলা ছিল কিছু বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল বেশিরভাগ স্কুল। রাইপুর, সারেঙ্গা ,সিমলাপাল, রানীবাঁধ ফুলকুসুমা, মঠগোদা, বিক্রমপুর, পি,মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন পথ অবরোধের শামিল হন। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে তাদের আন্দোলনের সমর্থের বক্তব্য রাখেন এবং আধিকারিকদের অফিস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। জঙ্গলমহলে এলাকায় বনধ সফল হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বনধকে কেন্দ্র করে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের টহলদারি ও পুলিশ আধিকারিকদের নজরদারি। দীর্ঘক্ষণ সময় খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশিনাথ মিস্ত্রি রাইপুরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশিনাথ মিস্ত্রি বলেন এলাকায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পুলিশ কর্মীরা সজাগ ছিলেন। রায়পুর থানার আইসি সুপ্রিয়া রঞ্জন মাঝির নেতৃত্বে রায়পুর বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহলদারী ছিল চোখে পড়ার মতো। সারেঙ্গার পি মোড়ে রাস্তা অবরোধের ফলে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেখানে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সারেঙ্গা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য নিজে উপস্থিত থেকে পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছেন ।