ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভারতে আটকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি জেলেকে হস্তান্তর
কাজী নূর।। বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় জল সীমায় ঢুকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি জেলেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের (The Bureau of Immigration (Boi) এর আওতাভুক্ত বনগাঁর পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীন যোগাযোগের পর ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটে’ নয় মাস পর গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় তারা দেশে ফিরে আসেন। এ সময় দুই দেশের পুলিশ, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বিজিবি’ ও ‘বিএসএফ’ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফেরত আসা জেলেরা বাংলাদেশের পিরোজপুর, বরগুনা ও ভোলা এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায় গত ১৮ আগস্ট ২০২২ বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়েন বহু বাংলাদেশি জেলে। সমুদ্রের বুকে হঠাৎ ঝড় এবং ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে তাদের ট্রলার ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জল সীমানায় ঢুকে পড়ে। প্রায় ৩৬ ঘন্টা ভেসে থাকার পর ভারতীয় কোস্টগার্ড ও জেলেরা উদ্ধার করে এসব জেলেদের। পরে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক দেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। এরপর জেলেদের পশ্চিমবঙ্গে কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ও মইপিঠ এলাকার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশিকে গত নভেম্বরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটে’ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরত পাঠনো হয়েছে। বাকী ১৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আলাপকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব আজাদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০২২ এর আগষ্টে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বহু বাংলাদেশি জেলে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে। পরে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগের পর ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটে’ গতকাল সন্ধ্যায় ১৫ জেলে দেশে ফিরে আসেন। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে তাদের বেনাপোল স্থলবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি ১৫ জেলেকে থানায় সোপর্দ করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিজ নিজ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।