একটি নীড় সমুদ্র ও আমি’ নাটকের মাধ্যমে অনন্য রূপে মঞ্চে দেখা গেলো প্রখ্যাত রেডিও দম্পতি জগন্নাথ বসু এবং ঊর্মিমালা বসু.

Spread the love

পারিজাত মোল্লা,

একটি নীড় সমুদ্র ও আমি’ নাটকের মাধ্যমে অনন্য রূপে মঞ্চে দেখা গেলো প্রখ্যাত রেডিও দম্পতি জগন্নাথ বসু এবং ঊর্মিমালা বসু.

নাটকের গল্প আবর্তিত হয় তরুণ দম্পতি তপতী এবং অনির্বাণকে নিয়ে. অনেক প্রচেষ্টার পরে অনির্বাণ তার পরিবারকে রাজি করায় তার একমাত্র প্রেম তপতীকে বিয়ে করতে. গল্পটি একটি বড় মোড় নেয় যখন তপতী জানতে পারে যে সে কখনই মা হতে পারবে না.

তপতী অনির্বাণের চূড়ান্ত ভালবাসা, কিন্তু সেই ভালবাসায় অনির্বাণের বাবা মায়ের বেশ আপত্তি। অনির্বাণ তখন এক মজার ছলনার আশ্রয়ে বাবা মাকে রাজি করাতে পারে এবং তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ভালোবাসা আরো পূর্ণতা পায়।কিন্তু বাঁধ সাধে তপতীর মা না হতে পারার হঠাৎ সংবাদে।অনির্বাণ স্বাভাবিক থেকে তপতীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তপতীর মনে হয় অনির্বাণ তাকে শুধুই সান্তনা দিচ্ছে,যা সমবেদনার ভালোবাসায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না।ফলতঃ তপতী অনির্বাণের থেকে অনেক দূরে সরে যায়।
এই দূরত্বকে কিছুটা কমানোর প্রচেষ্টায় অনির্বাণ তপতিকে কোথাও যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ঠিক হয় তারা পুরী যাবে বেশ কিছুদিনের জন্য। তারা পুরী যায়, কিন্তু জায়গার পরিবর্তন তপতির মনের পরিবর্তন ঘটায় না।
হঠাৎই এক সন্ধ্যায় তপতী বেশ কিছুক্ষণ একা সমুদ্রপাড়ে কাটানোর মাঝে নিজেকেই যেন সে হারিয়ে ফেলে; নিজের অজান্তেই সে অনেকদূর সমুদ্রপাড় ধরে হেঁটে চলে যায়। সেই নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে তার সাথে পরিচয় হয় সপ্তর্ষির।সপ্তর্ষির দৈব আবির্ভাবে তপতীর মনের পরিবর্তন ঘটে। তপতীর সমস্ত ধারণা জীবনের প্রতি ও প্রেমের প্রতি পাল্টাতে শুরু করে। সপ্তর্ষি ভালোবাসার এক অন্য সত্বা তার কাছে তুলে ধরে। শেষে তপতী অনির্বাণের কাছে ফিরে যেতে রাজি হয়। কিন্তু সপ্তর্ষিকে সে আর খুঁজে পায় না।
তপতী-অনির্বাণ কলকাতায় ফিরে আসে। তপতী এখন এক অন্য নারী। সেইসময় হঠাৎই জানতে পারে তপতী আবার মা হতে পারবে। অনির্বাণ আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরে।তপতির আনন্দ এখন অনেক গভীর ও শান্ত,শুধু বলে যে — তাদের পুত্র সন্তানই হবে,এই তার বিশ্বাস,আর তার নাম রাখা হবে সপ্তর্ষি।অনির্বাণ কারণ জানতে চাইলে ,তপতী বলে ওঠে তাদের সন্তান সাতটি তারার ঔজ্জ্বল্যের মত সপ্তর্ষি রূপে তাদের সমস্ত ভালোবাসাকে এক প্রবল শক্তিতে বয়ে নিয়ে চলবে, যা তাদের একমাত্র পাথেয় হবে জীবনবন্দনার।
এইভাবেই তপতী অনির্বাণের সাথে সপ্তর্ষিকেও জীবনে বেঁধে ফেলে।

অভিনয়ে: জগন্নাথ বসু এবং ঊর্মিমালা বসু।
সপ্তর্ষি – অলোক রায় ঘটক
গানে – স্বরুপ পাল, স্বাতি পাল, নভোদীপ চক্রবর্তী, অনুরূপ মল্লিক, দোলনচাঁপা মুখার্জি।
গল্প,কথা ও নির্দেশনা – সুব্রত সেনগুপ্ত

অনুষ্ঠানের দিন ৩১শে মে উত্তম মঞ্চ কলকাতা। সন্ধ্যা ৬:০০ থেকে রাত ৮:০০ পর্যন্ত.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *