সেখ মিলন (ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান) সালটা ১৯৪৯, এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শিক্ষানুরাগীদের। এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। আর সেখানেই শিক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন শিক্ষানুরাগীরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড় ব্লকের ওড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে নানান ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। গুটি গুটি পায়ে ৭৫ তম বর্ষপূর্তি। সোমবার থেকে তিন দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্কুলে প্লাটিনাম দিবস উদযাপনের করা হয়।প্রথম দিনের অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট। ওড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে সমাজে সুপতিষ্ঠীত বহু ছাত্র-ছাত্রী। স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক মন্ডলী এবং স্থানীয় মানুষজনের পূর্ণ প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ে প্লাটিনাম দিবস উদযাপন হল মহা ধুমধামে। সোমবার সকালে প্রভাত ফেরি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আবেগপ্রবনিত ভাবে চোখের জলে স্কুলের ইতিহাস বর্ণনা করেন স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষক তথা ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি তারাপদ পাল। উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়ব্রত সরকার, স্কুলের সভাপতি তরুণ কুমার ঘোষ, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, প্রখ্যাত লেখিকা রাজশ্রী বসু অধিকারী, অরুন কুমার মন্ডল (সহ বিদ্যালয় পরিদর্শক বর্ধমান সদর), অধ্যাপক নব কুমার মন্ডল (বিজ্ঞান বিভাগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়), পিয়ালী সীল (আরব পরিদর্শক ভাতাড় পশ্চিম চক্র), স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক মন্ডলী এলাকার গুণীজন থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন কবিতা, গান আবৃত্তি , নাটকও স্কুলের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়। পাশাপাশি কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকের রাজ্যের দশম স্থান অধিকারকারী সুপ্রিয় বিশ্বাসকেও সম্বর্ধনা জানানো হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়ব্রত সরকার বলেন, এলাকার গুণীজন ব্যক্তিবর্গ শিক্ষানুরাগীদের পূর্ণ প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে স্কুল আজ প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১২০০, সকল ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে শিক্ষা অর্জন করে সুষ্ঠ সমাজ ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার বার্তা দেন প্রধান শিক্ষক।