তিনলাখ পুরোহিতের জায়গায় মাত্র আট হাজার পুরোহিতদের ভাতা? প্রশ্ন গেরুয়া সাংসদের

Spread the love

সুরজ প্রসাদ,

বিজেপি কর্মীদের বাধা দিলে চ্যালাকাঠ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের মারার হুমকি দিলেন বিজেপি সাংসদ খাঁ।এদিন বর্ধমানে দলের সেবা সপ্তাহ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন তরুণ তুর্কী নেতা। রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের আগমন উপলক্ষে সাজো সাজো রব ছিল শহরে। এদিন তার সঙ্গে শহরে এসেছিলেন দলের রাজ্য ও কেন্দ্রের কয়েকজন নেতা।ছিলেন দলের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী।এদিন শাড়ি আর গাছের চারা বিতরণ করা হয়। কার্জনগেটের কাছে মঞ্চ বাঁধা হয়। অন্যদিকে বর্ধমান শহরে প্রবেশের মুখে তৈরি ছিল বিরাট পুলিশবাহিনী আর র‍্যাফ। রাস্তায় আসার সময়ে পদযাত্রা করে হেঁটে আসছিলেন সৌমিত্র সহ দলের নেতারা। তাদের আটকাতে ব্যারিকেড করেছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল।এরপর বাইক মিছিল ; র‍্যালি আর কনভয় করে সাড়ম্বরে সভাস্থলে প্রবেশ করেন সৌমিত্র।এদিন তিনি তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী আর অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে।তিনি বলেন ; মমতা আর ভাইপো কি দশ কোটি মানুষের কন্ঠরোধ করবেন? তিনি বলেন; তৃণমূল করে অনেক পাপ করেছি।বুথে বুথে ঘুরে তার প্রায়শ্চিত্ত করছি।ব্যাপক তোলাবাজি; বালির টাকা কামানো চলছে শাসকদলের মদতে।জেলার প্রোমোটি এস পি কান খুলে শুনে নিন সময় এলে বোঝা যাবে।আমরা ক্ষমতায় আসছিই। পুলিশকে দিয়ে ঘিরে রেখে বিজেপিকে আটকানো যাবেনা।জেলায় শিল্প নেই কাজ নেই। চাষির হাতে পয়সা নেই।এদিন তিনি পুলিশ অফিসারদের বারবার হুশিয়ারি দেন।কর্মীদের বলেন; তৃণমূল বোমা ছূড়বে। এতে ভয় পাবেন না।মরলে একবার মরতে হবে। কিন্তু রাজ্যের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে।কেন্দ্র চাষিদের নানা যোজনা চালু করেছে।৫ লাখ টাকা অব্দি আয়ূস্মান ভারত প্রকল্প এনেছে। মানুষকে এসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। বাটপার ভাইপো সব চালাচ্ছেন। তৃণমূল করা মানে পাপ করা। ভাইপো সিনিয়রদের সম্মান দেননা।মাত্র ৮০০০ পুরোহিতকে ভাতা কি ভিক্ষে দেওয়া? যেখানে রাজ্যে তিন লাখ পুরোহিত আছেন।এতো মরার মুখে রাম নাম।।সাইকেল দিলেও মেয়েদের সম্মান দেয়নি। ধর্ষণ হলেও বিচার মেলেনি। রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের মারধর থেকে খুনও করা হচ্ছে।এখানে কাজ নেই। অন্য রাজ্য এগিয়ে আছে।এরাজ্যে কাজ না পেয়ে দলে দলে যুবক বাইরে যান।দুর্গাপূজা আটকে কি ওরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা আনবেন?তিনি এদিন বলেন; আজ বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হলে অবরোধ হবে।চ্যালাকাঠ দিয়ে ঠ্যাঙানি দেওয়া হবে তৃণমূল নেতাদের। ভোট অবধি যেতে হবেনা; তার আগেই বাড়ি ছাড়া হবেন মত নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *