পদ পেয়েই লকডাউন উপেক্ষা করে সংবর্ধনা নিলেন তৃণমূল যুব নেতা

Spread the love

সুরজ প্রসাদ

এবার লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ উঠলো খোদ জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে। সদ্য জেলার যুব সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাসবিহারী হালদার।শুক্রবার বর্ধমান পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে ।সেখানে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। ২২ জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন জারি হয়েছে বর্ধমান পৌর এলাকায়।জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবই বন্ধ রয়েছে শহরের ৩৫ টি ওয়ার্ডেই। রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করে নাকা চেকিং করছে। অপ্রয়োজনে শহরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। গোটা শহর খাঁ খাঁ করছে।সবজি, মুদিখানা ও ওষুধের দোকান ছাড়া সবই বন্ধ।পুলিশ গোটা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। লকডাউন মানার জন্য দিনভর মাইকিং করা হচ্ছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।লকডাউন মানার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বের করা হয়েছে ট্যাবলো।প্রচারে কোন খামতি রাখছে না প্রশাসন।তবু একশ্রেণির মানুষ বেপরোয়া। তারা প্রয়োজন কি অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। সবজি বা মুদির দোকানে ভীড় করছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই।এদিন লকডাউনের মধ্যেই তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার দলীয় কার্যালয়ে সম্বর্ধনা নেওয়ায় বির্তক উঠলো।এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি তথা রাজ্য সমন্বয় কমিটির সদস্য দেবু টুডু বলেন খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য গতকালই গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল হয়।সেখানে ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের পরিবর্তে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হন রাসবিহারী হালদার। এতদিন জেলার যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলে এসেছেন সুভাষবাবু।এই বিষয়ে সদ্য নির্বাচিত যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন গুটিকয়েক দলীয় কর্মী সমর্থকরা পার্টি অফিসে তাঁকে সম্বর্ধনা দিয়েছে। সবার মুখে মাস্ক ছিল।মানা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব।ব্যবহার করা হয়েছে স্যানিটাইজার। বেশিক্ষণ পার্টি অফিস খোলা ছিল না। আধ ঘন্টা অফিস খোলা থাকার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করছে শাসকদলের নেতা। এতো নতুন কিছু নয়।রাসবিহারী বাবুর জানা উচিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *