জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
করোনা জনিত কারণে লকডাউন। বর্তমানে ধীরে ধীরে চালু হলেও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সিনেমা বা সিরিয়ালের ‘সুটিং’। কিন্তু অনেক শিল্পী বা নির্দেশক নিজ নিজ বাড়িতে বসেই একের পর এক তৈরি করে গেছেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। এরকমই একটি ছবি হলো “আত্মীয়”। উৎস নিবেদিত এই ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা, আবহসঙ্গীত, সম্পাদনা ও পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী মল্লিকা সিংহরায়। তিনি ছাড়াও এখানে অভিনয় করেছেন সজল বিশ্বাস ও রোদসী বিশ্বাস।
প্রায় প্রতিটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ‘রং’ নাম্বার এবং তার মাধ্যমে জ্বালাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এখানে ঘটেছে উল্টো। স্বামী ও ছেলে কাজের সূত্রে সকালে বেড়িয়ে পড়ে। নাতনি পড়াশোনার জন্য বিদেশে থাকে। ফলে বৃদ্ধা সারাদিন ফ্লাটে একাই থাকেন। তারপর একদিন হঠাৎ তার ফোন বেজে ওঠে। ‘দিদা’ ডাক শুনে বৃদ্ধা তার আদরের ‘গুড়িয়া’ নাতনিকে মনে করে। এই ‘রং’ নাম্বারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে কাহিনী।
অভিনয় জগতে মল্লিকা দেবী বা সজল বাবু পোড়খাওয়া। কিন্তু সবচেয়ে বড় চমক ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রোদসীর অভিনয়। এটি তার দ্বিতীয় ছবি হলেও অভিনয়ের মধ্যে কোনো কৃত্রিমতা নাই। স্বল্প পরিসরে তার প্রতিটি সংলাপে ধরা পড়েছে এই স্বাভাবিকতা।তার বক্তব্য – বাবা (সজল বিশ্বাস ) বা আণ্টি (মল্লিকা দেবী) বারবার বলেছেন বাড়িতে যেভাবে কথা বলি সেভাবেই যেন মোবাইল ক্যামেরার সামনে বলি। আমি তাই করেছি।
ইউটিউবে গত চার মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি দেখেন বার্ণপুরের মুনমুন মুখার্জ্জী। তিনি বললেন – কাহিনী এবং প্রত্যেকের বিশেষ করে রোদসীর স্বাভাবিক অভিনয় দেখে তিনি মুগ্ধ।
মল্লিকা দেবী বললেন – ‘রং’ নাম্বার মাঝে মাঝে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করলেও অনেক সময় অনাত্মীয়কেও আত্মীয় করে তুলতে পারে তারই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।