আদিবাসী কুড়মি সমাজের ডাকে পথ অবরোধ

শুভদীপ ঋজু মন্ডল, ১ এপ্রিল

আদিবাসী কুড়মি সমাজের ডাকে তাদের ন্যায্য দাবিগুলো র অবিলম্বে স্বীকৃতির দাবিতে আজ শনিবার ডহর ছেঁকা অর্থাৎ রাস্তা অবরোধ। আজ বাঁকুড়া – ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ককে উপর সিমলাপালের হরিণ টুলি গ্রামের কাছে পথ অবরোধে সামিল হলেন আদিবাসী কুড়মী সমাজের মানুষজন।পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলে   তফশীলি জাতিভূক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে অষ্টম তপশীলের অন্তর্ভূক্ত করা ও সারণা ধর্মের পৃথক কোড চালুর দাবিতে ১২ ঘন্টার পথ অবরোধ শুরু করলেন কুড়মি সমাজের মানুষ৷ শনিবার সকাল ৬ টা থেকে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ন’নম্বর রাজ্য সড়কের উপর সিমলাপালের হরিণটুলিতে পথ অবরোধে সামিল হলেন ঐ সমাজের মানুষ।

কুড়মি সমাজের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বাধীনতার আগে এরা ‘তফশীল জাতি’ ভূক্ত ছিলেন৷ কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কোন অজ্ঞাত কারণে হঠাৎই এই সম্প্রদায়ের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়৷ ফলে অনগ্রসর শ্রেণীর হলেও শুধুমাত্র সরকারিভাবে তালিকাভূক্ত না হওয়ার কারণে সমস্ত ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে৷

কুড়মি সমাজের তরফে এদিন দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ ৭ বছর হয়ে গেল, রাজ্য সরকার সি.আর.আই রিপোর্ট এখনো কেন্দ্রের কাছে পাঠায়নি। গত ৭৩ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলন ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই, তাই তাঁরা রাস্তায় নেমেই আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন।

 এদিনের এই অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহি যানবাহন, সমস্যায় সাধারণ মানুষ। অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আন্দোলনের নেতৃত্ব

চিরঞ্জিত মাহাতো (রাজ্য কমিটির সদস্য, কুড়মি সমাজ)
উত্তম কুমার মাহাতো (রাজ্য কমিটির সদস্য, কুড়মি সমাজ) সহ আজকের পথ অবরোধ নিয়ে কারা বললেন আমাদের দাবিগুলি যদি অবিলম্বে মানা না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য থাকব এখানে উল্লেখ্য আগামী পাঁচই এপ্রিল রেলরোকোর আন্দোলন দাক দিয়েছেন তারা।
লাল্টু আলি (লরি চালক) বলেন এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ ডেকে দেওয়ায় আমরা বিপদে পড়েছি অন্য রাজ্য থেকে আমরা মালপত্র নিয়ে আর এক রাজ্যে গিয়ে পৌঁছাই। কিন্তু হঠাৎ করে অবরোধে পড়ে গেলে আমাদের খুব সমস্যা হয়।

Leave a Reply